অনলাইনে নাহিদের কোটি টাকার মাছের কারবার

অনলাইনে নাহিদের কোটি টাকার মাছের কারবার

রংপুরের তরুণ নাহিদ হাসানের অনলাইন ব্যবসা ‘নাহিদ’স ওয়ার্ল্ড’ আজ মাসে কোটি টাকার কাঁচামাল ঘুরছে; শুরুটা ছিল চার বন্ধুর মাত্র ৪ হাজার টাকার পুঁজি দিয়ে।

নাহিদের শুরু ও বিপর্যয়
নাহিদ ২০২১ সালে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিলে অনলাইন বিক্রয় শুরু করেন। প্রথম পর্যায়ে আম বিক্রি করলে এক বড় অর্ডারকে কাজে নিয়েই তিনি প্রতারণার শিকার হন—এক ক্রেতা ২৫০ কেজি আমের অর্ডারের সময় প্রায় ১৭ হাজার টাকার কেস করে প্রতারনা করে পালিয়ে যান। তবু সেই ব্যর্থতাই তাঁকে নতুন লেখা ব্যবসায় ঝাঁপ দিতে প্রেরণা দেয়।

বিস্তৃতি ও বর্তমান অবস্থা
আজ নাহিদের প্রতিষ্ঠানে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র তৈরি করেছেন ঢাকার আজিমপুরে; সেখানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৩৫ জন—যাদের অধিকাংশই কলেজপড়ুয়া ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল। নিজস্ব সরবারহ ও ডেলিভারি ব্যবস্থার মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে, বিশেষ করে ঢাকায় তাজা মাছ সরবরাহ হচ্ছে; ঢাকায় ডেলিভারির জন্য আটটি মোটরসাইকেল রয়েছে তাদের দলে। কোম্পানিটির মাসিক বিক্রি এক কোটি টাকারও বেশি।

সামাজিক প্রভাব ও কর্মসংস্থান
নাহিদ কেবল নিজে উপার্জন করেই থেমে থাকেননি—দুটি বাসা ভাড়া করে কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা দিয়েছেন এবং স্থানীয় পর্যায়ে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের কাজে উদ্বুদ্ধ করছেন। তাঁর উদ্যোগ স্থানীয় যুবসমাজকে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করছে।

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
প্রতিবেদনে নাহিদ জানিয়েছেন—ব্যবসার শুরুতে যে প্রতারণা ও ভয় পেয়েছেন, তা ছাড়িয়ে এখন তিনি পণ্যের গুণমান ও লজিস্টিক উন্নত করতে ভাবছেন। পরবর্তী ধাপ হিসেবে তিনি বৃহত্তর সরবরাহশৃঙ্খল ও প্রিমিয়াম প্যাকেজিং চালুর কথা ভাবছেন।

সংক্ষেপে: রংপুরে জন্ম নেওয়া এক তরুণের ছয় বছর আগের ক্ষুদ্র উদ্যোগ—বৃদ্ধি পেয়ে ঢাকায় প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, কর্মসংস্থান ও মাসে কোটি টাকার বিক্রয়—এরকম একটি উদাহরণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *