বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত তথ্য, আর্থিক লেনদেন এবং সরকারি নথি সবই এখন অনলাইনে সংরক্ষিত। এর ফলে ‘সাইবার নিরাপত্তা’ এখন শুধু প্রযুক্তিগত বিষয় নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন গড়ে শতাধিক ওয়েবসাইটে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা হয়, যার বেশিরভাগই ঘটে তথ্য চুরি ও আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে। বিশেষ করে ব্যাংক, ই-কমার্স ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেজকে টার্গেট করা হচ্ছে বেশি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকার ইতিমধ্যে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কেন্দ্র (NCSC) গঠন করেছে, যেখানে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধে কাজ চলছে। পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও ক্যাম্পেইনও পরিচালনা করা হচ্ছে।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড, নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট এবং সন্দেহজনক লিঙ্কে না ক্লিক করা—এই তিনটি সাধারণ নিয়ম মানলে সাইবার আক্রমণ থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।”
তাদের মতে, শুধু প্রযুক্তি নয়, প্রয়োজন ডিজিটাল নাগরিক সচেতনতা। কারণ নিরাপদ সাইবার দুনিয়া গড়তে সরকার, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক—সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই সবচেয়ে জরুরি।
