ভাবুন তো—আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসে আছেন, আর আপনার বন্ধু বা ক্লায়েন্ট বাংলাদেশে। কয়েক সেকেন্ডেই আপনি টাকা পাঠিয়ে দিলেন, কোনো ঝামেলা ছাড়াই। এটাই সম্ভব করেছে পেপ্যাল (PayPal), বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন পেমেন্ট সেবাগুলোর একটি।
১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করে পেপ্যাল এখন এক বিশাল নেটওয়ার্ক। বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন এটি ব্যবহার করছে। কেনাকাটা থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং—যেকোনো অনলাইন লেনদেনেই পেপ্যাল এখন আস্থার নাম।
বাংলাদেশে কেন এত প্রত্যাশা?
বাংলাদেশ আজ ফ্রিল্যান্সিংয়ের গ্লোবাল হাবে পরিণত হচ্ছে। লাখ লাখ তরুণ-তরুণী অনলাইনে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। কিন্তু তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো পেমেন্ট গ্রহণ। পেপ্যাল না থাকায় তারা বিকল্প পথে ঘুরপথে টাকা আনতে বাধ্য হন, যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়সাপেক্ষ।
উদ্যোক্তাদের নতুন দিগন্ত
শুধু ফ্রিল্যান্সার নয়, দেশের ই-কমার্স ব্যবসায়ী এবং স্টার্টআপ উদ্যোক্তারাও পেপ্যালের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রির সুযোগ থাকলেও সহজ পেমেন্ট গেটওয়ে না থাকায় অনেকেই পিছিয়ে পড়ছেন। পেপ্যাল চালু হলে তারা সরাসরি বৈশ্বিক ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবেন।
কেন এখনো আসেনি?
এটাই বড় প্রশ্ন। সরকারি পর্যায়ে একাধিকবার পেপ্যাল চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি। নীতিগত জটিলতা, বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন—সবকিছু মিলিয়ে প্রক্রিয়াটি বারবার থেমে গেছে।
আশার আলো
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু হলে অর্থনীতিতে এক বিশাল পরিবর্তন আসবে। সহজে বৈদেশিক মুদ্রা আসবে, ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে দেবে, আর ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্পকে আরও শক্তিশালী করবে।
✦ পেপ্যাল তাই শুধু একটি অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম নয়—এটি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন, সম্ভাবনা আর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার হাতিয়ার।
