রপ্তানি ও বাণিজ্যে চীন-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব বাড়ছে

রপ্তানি ও বাণিজ্যে চীন-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব বাড়ছে

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে রপ্তানি-বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক আলোচনায় ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, দুই দেশের মধ্যে কৃষি, বস্ত্র, জুৎ, ও শিল্পপণ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

চীনের বাজারে বাংলাদেশের আম রপ্তানির অনুমোদন** পাওয়া এই অংশীদারিত্বের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বাংলাদেশের কৃষিপণ্য চীনের বাজারে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আমরা আরও বিস্তৃত পরিসরে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী।”

বর্তমানে চীন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার। বাংলাদেশ সরকার জানায়, ২০২৮ সাল পর্যন্ত চীন বাংলাদেশের প্রায় ৯৮ শতাংশ পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। এর ফলে দেশটির রপ্তানি আয় বাড়বে বলে আশা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রপ্তানি ক্ষেত্রের এ অগ্রগতি বাংলাদেশের উৎপাদনশীল খাতকে আরও উৎসাহিত করবে। তবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, সাপ্লাই-চেইন উন্নয়ন ও ব্র্যান্ডিং-এর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (BTMA)-এর এক প্রতিনিধি বলেন, “চীনের বাজারে আমাদের পণ্যের মান ও দামের প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হলে প্রযুক্তি-নির্ভর উৎপাদন বাড়াতে হবে।”

🔹 মূল দিকসমূহ

  • চীনের সঙ্গে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নতুন সুযোগ তৈরি।

  • ২০২৮ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল থাকবে।

  • বস্ত্র, জুৎ ও গ্রিন টেক্সটাইল খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা।

  • মান ও ব্র্যান্ডিং উন্নয়নেই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।

চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্কের এই ইতিবাচক ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তবে আগামী পাঁচ বছরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *